ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

লামা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের কবর জেয়ারত করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের নামাজে জানাযা নাপড়ার কারনে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লামা উপজেলা ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহযোগি সংগঠনের সকলস্তরের নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকালে লামা উপজেলা সদরে প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের কবর জেয়ারত করতে গেলে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদীকে কাছে পেয়ে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন দলের নেতাকর্মীরা।

উপস্থিত লামা উপজেলা ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের নামাজে জানাযায় লামা, আলীকদম উপজেলার পাশাপাশি পাশের উপজেলা চকরিয়া থেকে আওয়াামীলীগ পরিবার ছাড়াও সাধারণ জনতা অংশ নিয়েছেন। বান্দরবান থেকে জানাযায় শরীক হয়েছেন আওয়ামীলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মী। বাদ যায়নি সর্বস্তরের জনতা। লামা উপজেলার জনপ্রিয় এই জননেতার মৃত্যুতে জানাযা মাঠে ছুটে এসেছেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশেসিং।

আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানান, জানাযা শেষে দাপন পরবর্তী দীর্ঘসময় উপস্থিত থেকে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে শান্তনা দেন সাংসদ বীর বাহাদুর উশেসিং।

নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ একজন অভিভাবক হারানোর ব্যথায় দলের সকলস্তরের নেতাকর্মী থেকে নীতি নির্ধারক পর্যায়ের সর্বোচ্চ কা-ারী বান্দরবানবাসির অভিভাবক সাংসদ বীর বাহাদুর উশেসিং জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। অথচ আওয়ামীলীগের টিকেট পেয়েও নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তাড়া দেখিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের নামাজে জানাযা না পড়ে চলে যান।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী লামার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের জানাযা না পড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করেছে তিনি কথটা স্বার্থপর। যেখানে তিনি দলের একজন উপজেলা সভাপতির নামাজে জানাযাকে অবহেলা করেছেন, সেখানে একজন সাধারণ কর্মী তাঁর কাছে কতটুকু মুল্যবান। এতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি দলের তুলনায় নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেন বেশি। এসব বিষয় এখন খতিয়ে দেখা দরকার।

আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের এই ধরণের ক্ষোভ ও রাগ অনুরাগকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের কবর জেয়ারতে অংশ নেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। এরপর তিনি চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

বমুবিলছড়ি বাশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাফর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা কফিল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়–য়া, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আলম, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নুরুল আবছার, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সহ-সমভাপতি হাসান আল বসরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমীন টিপু, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত কবির বাপ্পী, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমিন টিপু, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ শাহাব উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান মামুন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত, পৌর যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।##

পাঠকের মতামত: